একদফা আন্দোলনের চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক করেছে বিএনপি। প্রায় এক ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির নেতারা। শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে আগামী ১২ জুলাই সরকারবিরোধী একদফা আন্দোলনের চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে বিএনপি। আর এই ঘোষণা দেওয়া হবে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিশাল সমাবেশ করে। সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন করা হবে। ইতোমধ্যে সমাবেশ সফল করার জন্য বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে অবহিত করতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে শনিবার সন্ধ্যায় সাক্ষাৎ করেছেন।
এদিকে জানা গেছে, বিএনপির প্রথমে পরিকল্পনা ছিল আগামী ১৫ জুলাই একদফা আন্দোলনের চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়া। কিন্তু হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন বিষয়ক প্রতিনিধিদল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরকে ঘিরে বিএনপির হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত বদল। সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপি বিদেশি প্রতিনিধিদের কাছে বার্তা পৌঁছাতে চায় যে, তারা এই সরকারের পতনের আন্দোলনে চূড়ান্ত ধাপে নেমেছে।
এক ঘণ্টার বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও জেলা ও অঙ্গসংগঠনের একজন শীর্ষ নেতা বক্তব্য রাখেন।
এ বিষয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এক নেতা বলেন, চলমান আন্দোলনকে গণআন্দোলনে রূপ দিতে বিরোধী দলগুলোকে এক মঞ্চে ওঠতে আরও অপেক্ষা করা হতে পারে। সবগুলো বিরোধী দল এক মঞ্চে উঠলে আন্দোলনে ভালো ফল আসবে।